স্টাফ রিপোর্টার:
চলছে চৈত্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। এ সময় চৈত্রের দাবদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা হওয়ার কথা হলেও বিয়ানীবাজার উপজেলাসহ প্রতিবেশী এলাকার চিত্র ভিন্ন। দিনে তাপমাত্রা মোটামুটি থাকলেও রাতে অনুভূত হচ্ছে শীত। ফ্যান চালানোর পরিবর্তে গায়ে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে হচ্ছে।
এদিকে, গরম-শীতের মিশেল এই আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। ঘরে ঘরে বাড়ছে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দিনের বেলায় তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও রাতের বেলায় তাপমাত্রা থাকছে ১৭ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ফলে রাতের বেলায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে, দিনে ও রাতে তাপমাত্রার বড় ব্যবধানের কারণে এবং সেই সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে ধুলোবালি বেড়ে যাওয়ায় সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের শাহীদুর রহমান বলেন, ‘রাতে ঘরের বাইরে বের হতে শীতের কাপড় পরতে হয়। রাত যত গভীর হয় শীতের তীব্রতা তত বাড়ে।’
সিলেট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানান, গত শীত মৌসুমে শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় হিমালয়ের বরফের পুরুত্ব অনেকটা বেড়ে গেছে। এর ফলে দিনের বেলায় সূর্যের কারণে প্রভাব না পড়লেও রাতের বেলায় তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। এতে রাতে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মনিরুল হক খান জানান, দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা, তার সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে ধুলাবালুর পরিমাণ বেড়েছে। এতে সর্দি, কাশি; বিশেষ করে অ্যাজমা-জাতীয় রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় বাইরে চলাফেরায় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি রাতে কাঁথা বা চাদরজাতীয় কিছু একটা গায়ে দিতে হবে। এ ছাড়া সরাসরি ফ্যানের নিচে ঘুমানো উচিত নয়।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার