জকিগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের জকিগঞ্জে একই রাতে দুটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খলাছড়া ইউনিয়নের লামারগ্রামে ও একই ইউপির আমবাড়ি গ্রামে পৃথক দুটি বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুজন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে খলাছড়া ইউনিয়নের লামারগ্রামের আল্লামা আব্দুল জব্বার রায়পুরী (রহ.) পূরান বাড়িতে ৭/৮ জনের ডাকাত দল ঘরের কেসিগেইটের তালা কেটে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে ফেলে। এ সময় হাফিজ মো. ইয়াহইয়া নামে পরিবারের এক সদস্যকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে হাতের ৪টি আঙুল কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে। ডাকাতরা ৪/৫ ভরিস্বর্ণালঙ্কার ও আনুমানিক নগদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায় বলে পরিবারের লোকজন জানান। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এরআগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমবাড়ি গ্রামের নাজিম আহমদের ঘরে ঢুকে ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে গৃহকর্তাকে জিম্মি করে হাতপা বাঁধতে গেলে তিনি চিৎকার দিতে চাইলে তার মাথায় চাপাতি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ডাকাতরা নগদ ৪ লক্ষ ১১ হাজার টকাসহ ৩টি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। তবে যাওয়ার সময় একটি মুটোফোন ডাকাতদল ওই বাড়িতে ফেলে যায় বলে বাড়ির বাসিন্দা কবির আহমদ জানান।
লামারগ্রামের হাবিবুল্লাহ মিছবাহ জানান, ঘটনার পরপর গুরুতর আহত আমার ভাগনা হাফিজ ইয়াহইয়াকে নিয়ে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছি। তার অবস্থা খুবই মারাত্মক হওয়ায় অপারেশন করা হবে। রোগীর চিকিৎসা শেষে মামলা করবেন বলে জানান। আমবাড়ি গ্রামের কবির আহমদ বলেন, ডাকাতদের হামলায় তার ছোট ভাই নাজিম আহমদের অবস্থা খুবই গুরুতর। সে এখন সিলেট এম.জি.ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের রয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ পরিদর্শন করেছে। রোগী অবস্থা বুঝে মামলার সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। সরেজমিন গিয়ে ঘটনার বর্ণনা ও আলামত উদ্ধারের পাশাপশি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। লামারগ্রামের ঘটনাটি ডাকাতি নিশ্চিত হওয়া গেলেও আমবাড়ি গ্রামে ডাকাতি না বিরোধ সংক্রান্ত ঘটনা তা নিয়ে কাজ করছি। এখনো এ বিষয়ে তেমন কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, গত প্রায় দুই মাসে জকিগঞ্জে বেশ কয়েকটি চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় ডাকতি ও চুরির ঘটনা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রায় প্রতিটি ডাকাতির ঘটনায়ই ডাকাতদের হামলার শিকার হচ্ছেন হচ্ছেন লোকজন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার