ক্রীড়া প্রতিবেদক:
হাইস্কোরিং এক ম্যাচই দেখা গেল মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। লো-স্কোরিং এলিমিনেটর ম্যাচ যতখানি হতাশ করেছে, ঠিক ততটাই উপভোগ্য সময় ফিরিয়ে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রথম কোয়ালিফায়ার।
প্রথমে জিমি নিশামের দুর্দান্ত ৯৭ রানের ইনিংসে ১৮৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় রংপুর। তবে এমন বট রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সহজ জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যেখানে ব্যাট হাতে দলকে জেতানোর পুরো কৃতিত্ব লিটন কুমার দাস এবং তাওহিদ হৃদয়ের ১৪৩ রানের জুটির। দুজনের এই জুটির ওপর ভর করে কুমিল্লা জয় পেয়েছে ৬ উইকেটে।
রংপুরের বোলারদের পুরো ইনিংসে দাঁড়ানোর সুযোগই দেননি কুমিল্লার এই দুই ব্যাটার। যদিও ম্যাচ শেষ করে আসা হয়নি কারোরই। লিটন দাস ৮৩ এবং তাওহীদ হৃদয় করেছেন ৬৩ রান। এমন জুটি নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা জমেছে বেশি। কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন জানালেন। এটাই তার জীবনের সেরা জুটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘অসাধারণ (জুটি)। আমি মনে করি আমার লাইফের তো বেস্ট। আমার এরকম কখনও হয় নাই আমি এত ভালো জুটি গড়ে ব্যাটিং করেছি। আমার লাইফে আমার মনে পড়ে না। যেভাবে সে (হৃদয়) ব্যাটিং করেছে তা দুর্দান্ত ছিল। নন স্ট্রাইক থেকে দেখতেও ভাল্লাগছিল। তার থেকেও বড় কথা হচ্ছে একটা পার্টনারের কাজ হচ্ছে আরেকটা পার্টনারের চাপ কমিয়ে দেওয়া। আমার মনে হয় ও আমাকে পুরা চাপ কমিয়ে দিয়েছে খেলাটা বড় করার জন্য।’
এত বড় জুটির রান সচরাচর বিদেশিদের দেখা যায়। তবে দেশিরা এমন কিছু করতে পারায় এবার স্বস্তি লিটনের, ‘অবশ্যই। সাধারণত তো আমরা এত বড় বড় রান তাড়া করি না। সেদিক দিয়ে অন্যতম সেরা বলতে পারেন আপনি। যেহেতু দুজনই বাঙালি। দুজনই জাতীয় দলের প্লেয়ার। আশা করি আমরা সামনে এভাবে চালিয়ে যেতে পারব।’
হৃদয়ের সঙ্গে জুটিটা টি-টোয়েন্টিতে লিটনের সেরা। এছাড়া ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে করা সেই জুটির কথাও আলাদা করে বললেন তিনি, ‘ওটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ। ওটা আমার জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ খেলা। ওটাও অন্যতম সেরা, ওটা অন্যরকম ছিলো সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে, এটা আলাদা। ফরম্যাটটা ভিন্ন তো এজন্য আমি টি-টোয়েন্টিতে সঙ্গীসহ এমন ইনিংস আমি খেলিনি। ‘
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার