গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা- এ চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। যারা এ পদকে ভূষিত হন তাদের নামের শেষে বিপিএম ও পিপিএম উপাধি যুক্ত হয়।
স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত ২৭ জানুয়ারি ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজারবাগ পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ২৮ ফেব্রুয়ারী রোজ বুধবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি। জানা যায়, পুলিশের ইতিহাসে গত এক দশকের মধ্যে এবারই সর্বোচ্চ ৪০০ জনকে পদক দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪৯ জন পুলিশ সদস্যকে চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়।
এবার অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পদকে ভূষিত করা হয়।
বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা- এ চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়। যারা এ পদকে ভূষিত হন তাদের নামের শেষে বিপিএম ও পিপিএম উপাধি যুক্ত হয়।
২০২৩ সালে ১১৭ জন, ২০২২ সালে ১১৫ জন, ২০২১ সালে ১১৫ জন, ২০২০ সালে ১১৮ জন, ২০১৯ সালে ৩৪৯ জন, ২০১৮ সালে ১৮২ জন, ২০১৭ সালে ১৩২ জন, ২০১৬ সালে ১১৫ জন, ২০১৫ সালে ৮৬ জন এবং ২০১৪ সালে ১০৫ জন পুলিশ সদস্য চারটি ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
এবারের পদকপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে পদক পেয়েছেন ৭৩জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য। ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগের (ক্রাইম ডিভিশন) মধ্যে মতিঝিল বিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি ৮ জন পদক পেয়েছেন।
মতিঝিল ক্রাইম ডিভিশন থেকে পুরস্কার পাওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন: মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রশাসন ও সবুজবাগ জোন) গোবিন্দ চন্দ্র পাল, মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রওশানুল হক সৈকত, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রাশেদ হাসান, মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানী, খিলগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন, পল্টন থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স) হিরন্ময় বারুরী, মতিঝিল থানার কনস্টেবল মো. মাহফুজার রহমান।
মতিঝিল ক্রাইম ডিভিশনের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম সাহসিকতা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রকাশিত ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, হায়াতুল ইসলাম খান অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ডিএমপি’র মতিঝিল বিভাগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গভবন, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক কার্যালয় ও বায়তুল মোকাররম কেন্দ্রীক বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রতিদিনই পালিত হয়ে থাকে। বিগত ১ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ৩০০টি বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি অসংখ্য কর্মসূচি পালিত হয়। হায়াতুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে মতিঝিল বিভাগ এ সকল কর্মসূচিতে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণসহ শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনে সহায়তা করে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার