নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় ফের অভিযান চালিয়েছে।
রোববারের অভিযানে ওই বাসা থেকে ফয়সাল ও মোস্তাফিজের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ছয় তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি মদের কারখানার সন্ধান মিলেছে। এর আগে ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে নিয়ে অভিযানে নামে ডিবি। যেসব স্থানে তারা শাহীনের সঙ্গে বৈঠক করে সেখানেই অভিযান চলছে। এদিকে ডিবির রিমান্ডে থাকা ফয়সাল ও মোস্তাফিজের মধ্যে একজন আজ মঙ্গলবার আনার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেবে বলেও জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ফয়সাল ও মোস্তাফিজদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বসুন্ধরার এল ব্লকে শাহীনের বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। সেখান থেকে ফয়সাল ও মোস্তাফিজের দুটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ফয়সাল ও মোস্তাফিজ জানিয়েছে গত ১৯ মে কলকাতা থেকে দেশে আসার পর শাহীনের বাসায় ওঠে তারা। এমপি আনার হত্যার আগে পাসপোর্ট ও ভিসা করার সময়ও তারা প্রায় ২৮ দিন শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় ছিল।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ডের চতুর্থ দিনও ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আনার অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি ওয়ারী বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহফুজুর রহমান।
তিনি জানান, গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সব তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় ফের অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় ফয়সাল ও মোস্তাফিজ সঙ্গে ছিল। এর আগে আনার হত্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ডিবি গত মে মাসে কয়েক দফায় শাহীনের বাসায় অভিযান চালানো হয় বলে জানান তিনি।
রোববারের অভিযানের একটি ভিডিও ফুটেজ এসেছে হাতে। সেখানে দেখা গেছে নির্মাণাধীন সাত তলা ভবনের তিন তলা পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে। ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে মদের কারখানা। সেখানে সারি সারি মদের বোতল দেখা গেছে। মদ বানানোর যন্ত্রও দেখা গেছে সেখানে। আনার হত্যার আগে ও পরে ওই বাসার যেসব রুমে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ থাকত তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে তারা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার