স্টাফ রিপোর্টার:
পেট্রোবাংলা সারা দেশে ৩৬টি কূপ খননের মাধ্যমে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করতে চায়। এর মধ্যে সিলেট অঞ্চলে সাতটি গ্যাসকূপ খনন ও সাতটি ওয়ার্ক ওভারের মাধ্যমে ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যেই এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। একই বছরের ছয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী জুনের মধ্যে ৪০-৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানান, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ১৪ নভেম্বর সিলেটের কৈলাসটিলা-২ ওয়ার্ক ওভারের কাজ উদ্বোধন করা হয়। ঐ কূপ থেকে প্রতিদিন ছয় মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ও ৮৮ ব্যারেল কনডেন্সড উৎপাদন হচ্ছে এবং তা জাতীয়ভাবে জ্বালানি ক্ষেত্রে অবদান রাখছে।
সিলেট গ্যাসফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)-এর এমডি প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, রশিদপুর-২ নম্বর কূপে ওয়ার্ক ওভার কাজ চলছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে এই কূপের নতুন একটি লেয়ার থেকে উৎপাদন শুরু করা যাবে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে কৈলাসটিলা ৮ নম্বর কূপে খননকাজ শুরু হবে এবং এখান থেকে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, রশীদপুর-৯ নম্বর কূপে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এই কূপ থেকে ৮-১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হতে পারে।
নতুন আরও একটি গ্যাস কূপের আশা প্রকাশ করে গ্যাসফিল্ডের এমডি আরও বলেন, বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের নতুন কূপ খননের থ্রি ডি সার্ভে চলছে। বিয়ানীবাজার ৩ ও ৪ নামে নতুন দুটি কূপ খনন হবে। গোলাপগঞ্জ ১৩ ও ১৪-এর থ্রি ডি সার্ভের রিপোর্ট পেলে আশা করছি, নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হবে। এমডি বলেন, আমরা গ্যাস উৎপাদনের পাশাপাশি পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট উৎপাদন করছি। এছাড়া জৈন্তাপুরের ঢুপিটিলায় নতুন গ্যাসকূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঐ কূপে গ্যাসের পাশাপাশি তেলেরও সন্ধান চালানো হবে।
চার-পাঁচ মাসের মধ্যে হরিপুরে তেল উত্তোলনের বিষয়ে গ্যাসফিল্ড এমডি বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর হরিপুর ১০ নম্বর কূপে তেলের সন্ধান মেলে। তেলের মান নির্ণয়ের জন্য ইআরএল (এনার্জি রেটিং লেভেল) এবং বুয়েটে স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে। নিজস্ব ল্যাবেও টেস্ট করা হয়েছে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, তেলের বিষয়টি মূল্যায়ন করতে চার-পাঁচ মাস সময় লাগবে। তিনি বলেন, গ্যাস উত্তোলনের জন্য মূল্যায়ন ও কম্প্রেশনের কাজ চলছে। কম্প্রেশন শেষ হলে পাইপলাইন বসানো হবে। এটা সম্পন্ন হলে কূপটি উত্তোলনে যাবে। তিনি এই কূপটিকে ব্যতিক্রম বলে উল্লেখ করেন। কারণ এই কূপের ঠিক নিচেই রয়েছে তেলের লেয়ার। যা খুব সাবধানে অপারেট করতে হয়। একটু এদিক-সেদিক হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এই কূপের ১ হাজার ৩৯৭ মিটার গভীরতায় তেলের প্রবাহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে কূপটিতে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার