বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
বছরের প্রথম দিনে সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে বই উৎসব। আজ সোমবার (১লা জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব শুরু হয়। প্রাথমিক ও ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই সব বই হাতে পাচ্ছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলায়ও বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে প্রাইমারি, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন ও মাদ্রাসায় পাঠ্য বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এই উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ম শ্রেণী এবং মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীর কোন বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। মাধ্যমিক পর্যায়ে ৯ম শ্রেণীতে ৮টি বিষয়ের বই বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুর রহমান জানান, উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত শ্রেণী প্রতি চাহিদামত ৪৫০০ সেট করে বই পাওয়া গেছে। মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ হতে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ১২০০ সেট করে বইয়ের চাহিদা ছিল। ইবতেদায়ী পর্যায়ে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ১১০০ সেট করে বই বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাধ্যমিকে ৮ম এবং মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীর বই কোথাও বিতরণ করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ানীবাজারে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিতরণকৃত বইয়ের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক অনেক বই বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। বইয়ের সংকটের কারণে এই অবস্থা বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: রোমান মিয়া জানান, বিয়ানীবাজারে প্রাথমিক স্তরে ১ম থেকে ৫০ শ্রেণী পর্যন্ত মোট ২৪ হাহার ৭০৪সেট বই বিতরণ করা হয়েছে।
সকাল থেকে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ শুরু হয়। বিকেল পর্যন্ত বই বিতরণের কার্যক্রম চলবে। সব শিক্ষার্থী বই হাতে ফিরবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, অষ্টম-নবমের ২০-২৫ শতাংশ বই এখনো ছাপা হয়নি। সেগুলো চলতি মাসেই ছাপা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এদিকে, ৯টি শ্রেণির মধ্যে এবার ৭টি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে লেখা বই দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো- প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম। এসব বইয়ের পাণ্ডুলিপি নতুন করে লেখা। শুধু চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগের শিক্ষাক্রমের বই পাবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার