স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরে বিক্ষোভ করেছেন কয়েকশ শ্রমিক। কাজ চাই-ভাত চাই-এই ধরনের শ্লোগান দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানান তারা।
শুল্ক বিভাগ পণ্য আমদানিতে প্রতি টনে পূর্বের নির্ধারিত এসএসমেন্ট সাড়ে ১১ ডলাররে পরিবর্তে বৃদ্ধি করে সাড়ে ১৩ ডলার করেছে। বাড়তি শুল্ককর প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার থেকে উভয় দেশে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেন পাথর আমদানিকারকরা। এতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এক সভা থেকে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, সরকার বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা আমদানি বন্ধ রাখবেন।
এদিকে বন্দর দিয়ে পাথর আমদানিসহ রফতানি বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ২ হাজার শ্রমিক। তারা গত কয়েকদিন থেকে খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করছেন। জামিল আহমদ নামের এক বন্দর শ্রমিক জানান, বাজারে নিত্যপন্যের চড়াদাম এবং কাজ না থাকায় আমরা পরিবার নিয়ে না খেয়ে আছি। তিনি বলেন, প্রায় প্রতি মাসেই নানা অজুহাতে এরকমভাবে বন্দর বন্ধ থাকে।
আলী হোসেন নামের অপর আরেক শ্রমিক জানান, পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন। এই বেকারত্ব ঘুচাতে হলে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
সিলেট কাস্টমস বিভাগের উপকমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমদানি বন্ধ করা হয়নি, শুল্কও আমরা বাড়াইনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, ডলারের দাম বেড়েছে। আগের ৮৪ টাকার জায়গায় এখন ডলারের দাম ১০৯ টাকা। ডলারের মূল্যস্ফীতিই শুল্ক বৃদ্ধির কারণ। তবে আমদানিকরা চাইলে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার