বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
বিয়ানীবাজারে শিল্প ও পন্য মেলা বন্ধে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে উদাসীন প্রশাসন-গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সিলেটজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। দৈনিক জালালাবাদী সংবাদ প্রকাশের মাত্র একঘন্টার মধ্যে অবেশেষে বিতর্কিত সেই মেলা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। বুধবার সন্ধ্যায় মেলা বন্ধের অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিয়ানীবাজারের সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী শারমিন নেওয়াজ, থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধরসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ। এ সময় সুপাতলা-নিদনপুর এলাকার লোকজনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা হাততালি দিয়ে প্রশাসনকে অভিনন্দন জানান।
জানা যায়, বিয়ানীবাজারের ওসমানী স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া মাসব্যাপী শিল্প ও পণ্য মেলা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন মাননীয় হাইকোর্ট। স্থানীয় চেম্বার অব কমার্সের এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক মেলার কার্যক্রম শুরু না করতে এ স্থগিতাদেশ দেন। বিয়ানীবাজার চেম্বার অব কমার্সের সচিব ও রিট পিটিশনের বাদী মো: আব্দুল আজিজ আদালতের আদেশের সার্টিফায়েড কপিসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে এ সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করেন। বিয়ানীবাজার চেম্বার অব কমার্সের রিট পিটিশনে বাণিজ্য সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ ও লাল সবুজ ডটকমের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেটমো: কামরুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্ণি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
সূত্র আরো জানায়, প্রায় ১০মাস পূর্বে বিয়ানীবাজার তথ্য আপা প্রকল্পের সুপারিশক্রমে লাল সবুজ ডটকম নামীয় একটি প্রতিষ্টান সরকারি ওসমানী স্টেডিয়ামে মেলা আয়োজনের প্রস্তাব করে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় জনৈক মুজিবুর রহমান বিপ্লব নামীয় ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মেলার অনুমতিপত্র বিক্রি করে দেয়া হয়।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম জানান, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে চিঠি দেয়া হয়েছে। বুধবার ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে প্রশাসন মেলা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, মেলা বন্ধ হওয়ায় দ্রুত মাঠের সাজসজ্জা খুলে নিয়ে খেলাধুলার দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাঠ খেলার উপযোগী করে দেয়া না হলে সকল ক্রীড়া সংগঠন মিলে দূর্বার অন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার