গোলাপগঞ্জ সংবাদদাতা:
সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে অবস্থিত কৈলাসটিলা ফিল্ডের এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) প্ল্যান্টকে উৎপাদনে নেবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল)-এর উদ্যোগে সোমবার (২০ মে) আয়োজিত অংশীজন সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্কার ও সুশাসন মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে জাতীয় শুদ্ধাচারকর্ম পরিকল্পনা ২০২০-২০২৪ এর আওতায় এ সভার আয়োজন করা হয়। সিলেট বিমানবন্দর সড়কের একটি ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন এসজিএফএল-এর কোম্পানির সচিব মো. ফারুক হোসেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন এসজিএফএল-এর এমডি মিজানুর রহমান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিত সাহা।
অংশীজন সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসজিএফএল-এর জিএম (এলএমপি) প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বিশ্বাস জানান, কৈলাসটিলা এলপিজি প্ল্যান্ট সিলেট গ্যাসফিল্ডের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে গত জানুয়ারিতে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। এটি শিগগিরই তাদের কাছে হস্তান্তর হবে। কারিগরি দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তারা প্ল্যান্টটি। উৎপাদনে নিয়ে যাবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাম্পে সমস্যা থাকায় রশীদপুর সিআরইউ প্ল্যান্টে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে জরুরি স্পেয়ার্স পার্টস এসে পৌঁছেছে। ৭টি হিটারে তাপমাত্রাজনিত সমস্যা থাকায় তারা প্ল্যান্টটি চালু করতে পারছেন না। তবে, জুলাই থেকে এটি পূর্ণোদ্যমে উৎপাদনে যাবে বলে তার আশা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসজিএফএল-এর এমডি মিজানুর রহমান বলেন, তারা প্রতিদিন প্রায় ১১৭-১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছেন। আগামীতে এ অঞ্চলে আরো কয়েকটি গ্যাসকূপ খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে।
তিনি বলেন, হরিপুরে নব-আবিষ্কৃত তেলকূপ খননে ডিপিপি (ডেভেলপম্যান্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ বছরে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে তেলকূপের কমিশনিং হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড-এর সমন্বিত সার্ভিস রুল সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে পেট্রোবাংলার ডিজিএম বলেন, বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে । শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার