জকিগঞ্জ সংবাদদাতা:
ভারতের বরাক নদী দিয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের জকিগঞ্জে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর কয়েকটি স্থানে ডাইক ভেঙে অন্ততপক্ষে ৪০/৫০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল নিজগ্রামে, কাজলসার ইউপির আটগ্রামের নালুহাটি গ্রামে সুরমা নদীর ডাইক ও জকিগঞ্জ সদর ইউপির ছবড়িয়া, বাখরশাল, রারাই, খলাছড়া ইউপির ভূইয়ারমোড়া, বিরশ্রী ইউপির মাঝরগ্রামসহ কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন এলাকার ডাইক ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে। তাছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ডাইক উপচে নদীর পানি গ্রামে ঢুকার খবর পাওয়া গেছে।
গভীর রাতে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে চলেছেন। বসতঘরে পানি ঢুকে গেছে। গৃহপালিত পশু পাখি নিয়ে পড়েছেন বেকায়দায়। আবার কেউ কেউ পানিবন্দি অবস্থায় বাড়িতেই অবস্থান করছেন। বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মানুষ।
বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি হু হু করে বাড়ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সময় সময় জকিগঞ্জের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুপুর দুইটা পর্যন্ত বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদীর পানি।
বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে ডাইক ভেঙে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে ডাইকের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মেরামত করা হলে বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব ছিলো।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসনিম জানান, ইতোমধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে প্রধান করে উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মোট ৫৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। তবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২২ টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য ১৫ টন চাল ও ১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ এসেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সর্তক রয়েছে। পানিবন্দি এলাকার লোকজন যেকোন তথ্য উপজেলা বন্যা কন্ট্রোল রুমে জানানোর জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার