Daily Jalalabadi

  সিলেট     রবিবার, ১৭ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি: খোলা হয়েছে ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৫ ইউনিয়ন প্লাবিত

admin

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪ | ০৬:৪৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ | ০৬:৪৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
বিয়ানীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি: খোলা হয়েছে ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র, ৫ ইউনিয়ন প্লাবিত

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিয়ানীবাজার উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আকস্মিক অবনতি হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙ্গে একাধিক স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার রাত এসব এলাকায় হু হু করে বাড়তে শুরু করে পানি। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। অনেকের ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে গবাদি পশু ও পুকুর-খামারের মাছ। এ অবস্থায় দিশেহারা ও আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে খুঁজে ছুটছেন বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষজন।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসন। সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত ৫টি ইউনিয়নে মোট ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত ২০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। আরো দূর্গত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিচ্ছেন। উপজেলার আলীনগর, চারখাই, দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বেশীরভাগ এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

বুধবার সকাল থেকে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম, অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম জানান, সরকারি হিসেবে এখনো পর্যন্ত ৫ হাজার ৫শ’ লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। দূর্গত মানুষের সহায়তায় জন্য ত্রাণ সামগ্রীর চাহিদা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

সরজমিন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, দুবাগ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় বন্যার পানির ভয়াবহতা বেশী। ইউনিয়নের একাধিক স্কুলে পানি প্রবেশ করেছে। বিজিবি ক্যাম্প, হাট-বাজার ঝূকির মুখে।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন