বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
বিয়ানীবাজারের পল্লীতে ফেসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত: ২০ জন আহত হয়েছেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষ থামাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান কিংবা অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যাননি। তাদের এমন আচরনকে রহস্যজনক বলে অভিহিত করেছেন বিরোধীয় দু’পক্ষের দায়িত্বশীলরা। গত ৩-৪ দিন থেকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের চরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, গত ৩-৪দিন আগে স্থানীয় লন্ডনী বাড়ির গুষ্টির সাজুর সাথে ফেসবুকে লেখা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় নয়াবাড়ি গুষ্টির ছানু মিয়ার এক নাতির (তাৎক্ষনিক নাম জানা যায়নি)। তুচ্ছ এ বিষয়কে কেন্দ্র করে গ্রাম্য মোড়লরা রাজনীতি শুরু করেন। এমন ভিলেজ পলিটিক্সে ইন্ধন দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জামিল আহমদসহ প্রভাবশালী আরো ২-৩জন। একপর্যায়ে একপক্ষ থানায় অভিযোগ করলে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তদন্তে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে দুইপক্ষ সামাজিক নিষ্পত্তি মেনে ১০ হাজার টাকা করে মোড়লদের কাছে জামানত দেন। কিন্তু ফের সমাজপতিরা ইন্ধন যোগালে বিকেলের দিকে বিরোধীয় দুইপক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত: ২০জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে হারুন রশীদ, আমজাদ হোসেন, রাহাত আহমদ, পারভেজ আহমদ, মতিউর রহমান, মানিক আহমদ, কামাল হোসেন, মাহবুবুর রহমান, আব্দুল হাফিজ, জসীম উদ্দিন, জাহেদ আহমদ, শিহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও আলী আহমদ বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। অপর আহতরা অন্যত্র চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভূক্তভোগীরা জানান, ৩-৪দিন থেকে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চললেও চেয়ারম্যান-মেম্বাররা উভয়পক্ষে ইন্ধন যোগান। এ কারনে সংঘর্ষ চলাকালে তাদের কেউ ঘটনাস্থলে যাননি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জালাল আহমদ ও ইউপি সদস্য জামিল আহমদ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, ওই এলাকায় পানি থাকায় কিছুটা দেরীতে পুলিশ পৌঁছে। আমরা সংঘর্ষ থামিয়ে ইন্ধনদাতাদের ২-৩জনকে আটক করেছি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার