বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
বিয়ানীবাজারের এক নিভৃত পল্লীতে কিশোর-কিশোরীর অবুঝ প্রেম নিয়ে তোলপাড় চলছে। গভীর রাতে ম্যাজিষ্ট্রেট-পুলিশের উপস্থিতিতেও বিষয়টির স্থায়ী সুরাহা না হওয়ায় উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্য কেবল বাড়ছে। প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে আসা কিশোরীর ডরভয়হীন বাহারি কথায় প্রশাসনের লোকজন রীতিমত বিস্মিত হয়ে পড়েন। উপায় না পেয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারের জিম্মায় মেয়েটিকে রেখে আসেন তারা।
উপজেলার কুড়ার বাজার ইউপি চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তোতা জানান, মাদ্রাসায় পড়–য়া এক কিশোরী রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে তার কিশোর প্রেমিকের বাসায় আশ্রয় নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী শামীম, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধরসহ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। তারা সবাই মিলে কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, তার মা-বাবা তাকে নির্যাতনের পাশাপাশি প্রেমিককে নিয়ে প্রায়সময় কটুক্তি করেন। এতে তার চরম জেদ চাপে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওই কিশোরী কোন অবস্থায়ই তার বাবা-মায়ের কাছে যাবেনা বলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানায়।
স্থানীয়রা জানান, প্রেমিক যুগলের দু’জনের বয়সই ১৫ পেরোয়নি। তাদের গ্রামের বাড়ির দূরত্বও বেশী নয়। প্রেমের সম্পর্কের কারণে তাদেরকে দু’বার মাদ্রাসা থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু কোন বাধাই তাদের মনের দূরত্ব ঘোচাতে পারেনি।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম বলেন, বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি নেয়ার খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিষয়টি জানতে পারি। তাদের উভয় পরিবারের আর্থিক অবস্থাও খারাপ।
এদিকে সোমবার সকালে কুড়ার বাজার ইউপি কার্যালয়ে কিশোরীর পিতা-মাতা এবং অন্যান্য অভিভাবক এসে আর নির্যাতন করবেননা বলে মুচলেখা দিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার