বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
হাসপাতালের অবকাঠামো, বেড, অপারেশন থিয়েটার সবই আছে; শুধু নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল। ফলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। মাত্র একজন চিকিৎসক আউডডোর ও ইনডোরসহ সব চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ ছাড়া চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি প্রসূতিসেবা প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।
৫০ শয্যার বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে অসহায় দরিদ্র রোগীদের। চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মেডিক্যাল টিম, ফিল্ড ভিজিটসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ২ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশী জনসংখ্যা অধ্যুষিত বিয়ানীবাজারের এই হাসপাতালে প্রতিদিন অন্তত: ২শ’ রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একের পর এক বদলির কারণেই চিকিৎসক সংকট দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক একের পর এক প্রেষণে অন্যত্র বদলি হয়েছেন। আবার অনেকেই হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পর বিশেষ অর্ডারে বদলি হয়েছেন।
জানা যায়, বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন ডা: দেবদুলাল চক্রবর্তী। তবে এর আগে ডা: ইমরান আহমদ নামের একজন কর্মরত থাকলেও বদলিজনিত কারনে তিনি চলে গেছেন। এছাড়া শৈল্য, গাইনি, হৃদরোগ, মেডিসিন ও অ্যানেসথেশিয়া, দন্ত, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তার (আরএমও) পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এক সেবিকা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অনেক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মুহাম্মদ মনিরুল হক খান বলেন, সিলেটের অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে চিকিৎসক তুলনামূলকভাবে বেশি থাকলেও নানা জটিলতায় একজন চিকিৎসক দিয়ে বর্তমানে আমরা চিকিৎসা সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার