স্টাফ রিপোর্টার:
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা বিলাসবহুল ৫০টি গাড়ি আটকে আছে চট্টগ্রাম বন্দরে। গাড়িগুলো সদ্যবিলুপ্ত শেখ হাসিনার সরকারের এমপিরা এনেছিলেন। কিন্তু গাড়ি বন্দরে পৌঁছার আগেই সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় এখন সেগুলো আর শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড় করানো যাচ্ছে না। প্রতিটি গাড়ি ছাড়াতে এখন কমপক্ষে ৬ কোটি টাকা করে দিতে হবে। যেখানে বিলাসবহুল এসব গাড়ি প্রতিটা আমদানি করা হয়েছে এক কোটি টাকার নিচে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, সদ্য বিদায়ী সরকারের এমপিদের শুলকমুক্ত সুবিধায় আনা বেশকিছু বিলাসবহুল গাড়ি বন্দরে আটকে আছে। এখন যখন তারা সংসদ সদস্য নন, কাজেই সেই সুবিধা আর পাচ্ছেন না। কাজেই গাড়িগুলো ছাড়াতে হলে স্বাভাবিক নিয়মে শুল্ক পরিশোধ করে নিতে হবে।
জানা যায়, শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়িগুলো আমদানি করেছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, নেত্রকোনার সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সংসদ সদস্য এসএকে একরামুজ্জামান, ফয়জুর রহমান, সিরাজগঞ্জের চয়ন ইসলাম, জান্নাত আরা হেনরি, নাটোরের আবুল কালাম, সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বগুড়ার মজিবুর রহমান মঞ্জু, রেজাউল করিম তানসেন, টাঙ্গাইলের অনুপম শাহজাহান জয়, হবিগঞ্জের ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, সুনামগঞ্জের রনজিৎ সরকার, ড. সাদিক, গাইবান্ধার আবুল কালাম আজাদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, যশোরের নওয়াব আলী জোয়ার্দার, ঝিনাইদহের নাসের শাহরিয়ার জাহিদি, লক্ষ্মীপুরের মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও দিনাজপুরের মুহাম্মদ জাকারিয়া।
এদের মধ্যে ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কয়েকদিন আগে সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ কয়েকজন গাড়ি খালাস করে ফেলেছেন। জানা যায়, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ওসব গাড়ির বেশির ভাগ জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করা হয়েছে। এরমধ্যে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, টয়োটা জিপ, টয়োটা এলসি স্টেশন ওয়াগট মডেলের গাড়িগুলোর ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি ৪ হাজার সিসি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য না থাকায় তারা এখন আর শুল্কমুক্ত গাড়ি ছাড়ের সুবিধা পাবেন না। এসব গাড়ি ছাড় নিতে হলে নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে।
৪ হাজার সিসির প্রতিটি ৮২৬ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হবে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, আইন অনুযায়ী এমপিরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আনতে পারেন। তবে ৬ই আগস্টের পর কোনো গাড়িতে তো আর সেই শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকার কথা নয়। এ কারণে আমরা ওই সিস্টেমে আসা কিছু গাড়ি আটকে রেখেছি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার