স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতে উদ্ধার হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নার মৃতদেহ এখনো স্থানীয় থানায় রয়েছে। তার সঙ্গে প্রায় দুই কোটি ডলার ছিল বলে স্বজনদের বরাতে জানিয়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যম।
পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে , ওই মৃতদেহে পাওয়া পাসপোর্ট থেকে পান্নার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে শ্বাসরোধের কথা বলা হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। কপালে ছিলে যাওয়া ও ক্ষতচিহ্নের কথা বলা হয়েছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে।
ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া (ইউএনআই) জানিয়েছে, পান্নার কাছে প্রায় দুই কোটি ডলার ছিল বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন। তবে মৃতদেহ উদ্ধারের সময় কোনো মুদ্রা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড় জেলা পুলিশের প্রধান গিরি প্রসাদ।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমরা যখন লাশ উদ্ধার করি, তখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও স্মার্টওয়াচ ছাড়া কোনো অর্থকড়ি পাওয়া যায়নি। পান্নার মৃতদেহ বর্তমানে খেইহরিয়াত সিভিল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
লাশ নিতে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি জানিয়ে প্রসাদ বলেন, মৃতদেহ পেতে পরিবারের সদস্যদের মেঘালয় সরকারের কাছে যেতে হবে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে এটি হস্তান্তর করা হবে।
পান্নার পরিবারের একজন সদস্য ইউএনআইকে বলেছেন, মৃতদেহ বাংলাদেশ আনতে ইতোমধ্যে তারা ভারতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ২৬শে আগস্ট পান্নার লাশ উদ্ধারের কথা জানায় মেঘালয় পুলিশ।
ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর তিনি দলের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক হন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার