Daily Jalalabadi

  সিলেট     শনিবার, ১৬ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় দূতাবাসের অনুরোধে এমপি হন রুমা চক্রবর্তী, গ্রহণ করেনি বিয়ানীবাজার আ’লীগ

admin

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪ | ০৭:২৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৪ | ০৭:২৩ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ভারতীয় দূতাবাসের অনুরোধে এমপি হন রুমা চক্রবর্তী, গ্রহণ করেনি বিয়ানীবাজার আ’লীগ

বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নারী আসনের সংরক্ষিত সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র ৫ মাস দায়িত্ব পালন করেন বিয়ানীবাজারের রুমা চক্রবর্তী। তিনি চলতি বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। দায়িত্বকালে মাত্র ৪ দিন জাতীয় সংসদে কথা বলেন তিনি। তবে এই চারদিনের মধ্যে কেবল তিনি একদিন মাত্র স্থানীয় সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন। বাকী দিনগুলো কেটেছে জাতীয় ইস্যু নিয়ে।

রুমা চক্রবর্তী সিলেট বিভাগের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনে একমাত্র সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান। ভারতীয় দূতাবাসের অনুরোধে তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন দলীয় ও তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা-সে সময় সর্বত্র এমন কথাই চাউর হয়।

রুমা চক্রবর্তী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পুরো সিলেট বিভাগের নারী নেত্রীদের মধ্যে এক ধরনের কানাঘুঁষা শুরু হয়। দলীয় পদবীধারী অনেক বিখ্যাত নারী নেত্রীদের ঠেক্কা দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তুলনামুলক কম পরিচিত রুমা চক্রবর্তী। এ নিয়ে সিলেটজুড়ে সে সময় অনেক গুঞ্জন ওঠে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও ভিতরে-ভিতরে তোলপাড় চলে। রাজপথের পরীক্ষিত অনেক নারী নেত্রী তখন অভিমান করে বসেন। সিলেটের ১৯টি সংসদীয় আসনে একমাত্র সংরক্ষিত সংসদ সদস্য হিসেবে তাকে বেছে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হওয়ার রুমা চক্রবর্তী ভূমি মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। ইচ্ছে ছিল, নিজের বেদখল হওয়া ভিটেমাটি ফিরে পাওয়া। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারনে সে ইচ্ছে আর পূরণ হয়নি তার।

রুমা চক্রবর্তী এমপি নির্বাচিত হলেও বিয়ানীবাজারের আওয়ামীলীগ তাকে গ্রহণ করেনি। তার ৫ মাসের মেয়াদে কোনদিন আওয়ামীলীগ তাকে ডাকেনি। এমনকি রুমাকে প্রশাসনিক কোন কার্যক্রমেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তার মেয়াদকালে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ পাওয়া ঈদ উপহার বিতরণ করে উপজেলা প্রশাসন। বিয়ানীবাজারের শেওলায় একটি রাস্তার উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হয় তার মাধ্যমে। রুমা চক্রবর্তীর সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তার ছেলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা। এমপি হওয়ার পর তিনি দু’দিন মাত্র নিজ এলাকা সুপাতলায় এসেছিলেন।

এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সেসময়ে রুমা তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, আমার পরিকল্পনা হলো স্থানীয় যারা গরিব আছেন, তাদের স্বাবলম্বী করা। অবহেলিত নারী যারা আছেন তাদের নিয়ে কাজ করা। নারীরা যেন শিক্ষিত হয়ে চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, সে বিষয়ে কাজ করব।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় সাবেক সংসদ সদস্য রুমা চক্রবর্তীর বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন