স্টাফ রিপোর্টার:
গত ১৫ বছর বেসামরিক মানুষকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করার পর তা জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে মেঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে। তবে সিলেটে এখনো জমা পড়েনি শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। এসব আগ্নে উদ্ধার শিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জানা গেছে, স্থগিত করা লাইসেন্সের বিপরীতে থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় জমা না দিলে উদ্ধার অভিযানে সেগুলো জব্দ করা হবে। একই সঙ্গে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেহাত হওয়া ও হারানো অস্ত্রসহ যে কোনও অবৈধ অস্ত্র এ অভিযানে উদ্ধার করা হবে। সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র্যাব ও আনসারের যৌথ সমন্বয়ে অপারেশন টিম গঠন করে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জমা দেওয়ার সময় শেষ হলেও সিলেটে এখনো ১১০টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি।
শিঘ্রই এসব অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। গোলাপগঞ্জ থানায় কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও সামরিক ব্যক্তি মালিকানাধীন লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রও জমা পড়ায় সেগুলো ফেরত দিয়ে নতুন করে হিসাব করা হবে। এছাড়া সিলেটের অন্যান্য থানায় এমন ঘটনা হয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।
সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা সরকার বলেন- লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রের মাঝে বেসামরিক ব্যক্তি মালিকানাধীন ও প্রাতিষ্ঠানিক অস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ২৪৮টি ও জেলায় ৬৬৬টি। সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিলো- প্রাতিষ্ঠানিক বা সামরিক ব্যক্তি ছাড়া শুধু বেসামরিক ব্যক্তিরা তাদের লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেবেন। এমন অস্ত্র জেলা ও মহানগরে রয়েছে ৬৩৯টি। এর মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৩৪টি জমা পড়েছে।
তিনি বলেন- পুরোপুরি হিসাব বা তথ্য পেতে আরও সময় লাগবে। কারণ- কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও সামরিক ব্যক্তি মালিকানাধীন লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রও জমা পড়েছে। এখন পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ থানায় এমনটি হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হতে পেরেছি আমরা। সিলেটের অন্যান্য থানায়ও এমন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আজ (বুধবার) এগুলো বাছাই করে হিসাব থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার