বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা:
নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বর্তমান সরকার ৫ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত কিশোরীদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রায় ১৮ হাজার (১৭ হাজার ৭শ’) কিশোরীরকে এই টিকা দেওয়া হবে। এখানকার ২৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা টিকা গ্রহণ করবেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল হক খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এটি রোগ প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। এইচপিভি টিকা এই রোগকে প্রতিরোধ করে। এই টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। তাই সরকারের উদ্যোগে এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
জানা যায়, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে মাসব্যাপী এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ১০দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া বা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এই টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তী ৮দিন নিজ নিজ এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকে এ টিকা দেয়া যাবে। এইচপিভি টিকা বাইরেও পাওয়া যায়। বাইরে কিনতে একটি দাম পড়বে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। স্কুলবহির্ভূত কিশোরীরা টিকা পাবে ইপিআই কেন্দ্রে।
সাধারণত হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) দ্বারা সংক্রামিত হওয়া থেকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১৫-২০ বছর সময় লাগে। এজন্য এই রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই প্রায় শেষ পর্যায়ে শনাক্ত হন যখন রোগ থেকে সেরে ওঠা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। কিশোরীদের নির্দিষ্ট বয়সে এক ডোজ এইচপিভি টিকা প্রদান করলে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার