Daily Jalalabadi

  সিলেট     শুক্রবার, ১৫ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে দূতাবাসের কার্যক্রম সীমিত করল চীন

admin

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
পাকিস্তানে দূতাবাসের কার্যক্রম সীমিত করল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানে দূতাবাসের কার্যক্রম সীমিত করেছে চীন। মঙ্গলবার চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক নোটিশে বলা হয়, ‘প্রযুক্তিগত জটিলতার’ কারণে দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগ সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, ‘কিছু প্রজুক্তিগত সমস্যার কারণে ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সাল থেকে ইসলামাবাদে চীনের দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগ সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তি নোটিশ আসার আগ পর্যন্ত এই ব্যবস্থাই বহাল থাকবে।’

কনস্যুলার হলো যে কোনো দূতাবাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিভাগ। দুই দেশের সরকারের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ইস্যুগুলো এই বিভাগটিই দেখভাল করে। ফলে যতদিন পর্যন্ত কনস্যুলার বিভাগ বন্ধ থাকবে— পাকিস্তানে চীনের দূতাবাসের কার্যক্রমও থাকবে সীমিত।

পাকিস্তান ও চীনের পারস্পরিক সম্পর্ক বিবেচনা করলে কনস্যুলার বিভাগ বন্ধের ব্যাপারটি বেশ গুরত্বপূর্ণ। কারণ, দীর্ঘ ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশে পরস্পরের নির্ভরযোগ্য মিত্র।

চীন-পাকিস্তানের বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল গত শতকের পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি; সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সে সময় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ভারতের সঙ্গে তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের সুসম্পর্ক থাকায় তার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে অপর সমাজতান্ত্রিক দেশ চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগ নেয় আইয়ুব খানের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন পাকিস্তান প্রশাসন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় কৌশলগত কারণে চীন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে নিজেদের মিত্র হিসেবে বেছে নেয় পাকিস্তানকে।

তারপর গত কয়েক দশকে এই বন্ধুত্বে তেমন কোনো আঘাত আসেনি। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ২০১৩ সালে চীন বিআরআই প্রকল্প শুরু করার পর থেকে।

সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে আরব সাগরের সঙ্গে চীনের সরাসরি সংযোগ প্রকল্পই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআই প্রকল্প নামে পরিচিত। এ প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার ৫০০ ডলার ব্যয় ধরেছে চীন।

পরিচিত। বিআরআই প্রকল্পের একটি অংশের নাম চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইডি)। সিপিইডির কাজের সূত্রে পাকিস্তানে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের ওপর কয়েকবার ভয়াবহ প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী।

নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য পৃথক নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তানে পাঠাতে চেয়েছিল চীন, কিন্তু ইসলামাবাদের আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি।

পাকিস্তানের সরকার যদিও চীনা নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু তাতে ভরসা করতে পারছে না বেইজিং।

দুই দেশের এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ইসলামাবাদে চীনা দূতাবাসের কার্যক্রম সীমিতের ঘটনা ঘটল।

 

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার

শেয়ার করুন