Daily Jalalabadi

  সিলেট     রবিবার, ১৭ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী এলাকা: বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জে কেউ নেই -শমসেরের পাশে

admin

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৩ | ০৩:৫৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ | ০৩:৫৮ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
নির্বাচনী এলাকা: বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জে কেউ নেই -শমসেরের পাশে

স্টাফ রিপোর্টার:
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন জোট যুক্তফ্রন্ট থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন শমসের মুবিন চৌধুরী। বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে তিনি বিকল্প ধারায় যোগ দেন। নানা মেরুকরণের গত নির্বাচনে সিলেট-৬ বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ নির্বাচনী আসন থেকে তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে রাজনৈতিকমহলে সে সময় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত এই আসন থেকে মহাজোটের মনোনয়ন পান আওয়ামীলীগের তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে টানা ৩য় বারের মত এমপি নির্বাচিত হন।

এবারও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিয়ে শমসের মুবিন চৌধুরী দলের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেট-৬ আসনের অন্তর্গত গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। তবে শমসেরের নির্বাচনী এলাকায় এ নিয়ে কোন আলোচনা নেই। এখন্ োপর্যন্ত তাঁকে নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কোন কৌতুহল দেখা যায়নি। তৃণমূল বিএনপি’র সভাপতি হওয়ার পর হঠাৎ করেই জাতীয় রাজনীতির ফ্রন্টলাইনে চলে আসেন শমসের মবিন চৌধুরী। যদিও গত ১০ বছরের বেশী সময় থেকে তিনি নিজ এলাকায় আসেননি। বিএনপি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকাকালে একবার বিয়ানীবাজারে আসেন তিনি। তবে সে সময় তাঁর সমাবেশস্থলে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারী করায় তিনি ফিরে যেতে বাধ্য হন। সেই থেকে আজোবধি তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেননি। করোনা-বন্যায়ও দেখা মিলেনি তাঁর। এই দুই উপজেলায় তৃণমূল বিএনপির কোন কর্মী-সমর্থক খুঁজে পাওয়া যায়নি। দলটির কোন কমিটিও নেই। এমন হিসেবে শমসের মুবিন চৌধুরী আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলে ভোটের মাঠে কেমন প্রভাব ফেলবেন, তা ঠাহর করা কঠিন।

 

স্থানীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত অনেকের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সিলেট-৬ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে অন্তত: অর্ধডজন নেতা, বিএনপি থেকে ২জন, জাতীয় পার্টি থেকে ১জন এবং নিবন্ধনহীন দল জামায়াতে ইসলামী থেকে আরো ১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোট কিংবা রাজনীতির মাঠে তারা দীর্ঘদিন থেকে সরব। এই আসনে প্রতিদ্বন্ধিতায় আগ্রহী কোন প্রার্থীই কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এমন প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করে তৃণমুল বিএনপির হয়ে আলোচনায় আসা শমসের মুবিনকে এখানকার ভোটাররা গ্রহণ করতে চাইবেনা।

 

নির্বাচনী রাজনীতিতে শেষ পর্যন্ত জোটবদ্ধ নির্বাচন হলেও আওয়ামীলীগ-বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে চাইবে। জাতীয় পার্টি-জামায়াতে ইসলামীও এখানে ছাড় না দিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে নিয়ে নির্বাচন করতে অনড়। এমন সমীকরণে হঠাৎ করে ভোটের মাঠে আসা শমসের মুবিন চৌধুরী সুবিধা করতে পারবেনা বলে জানান জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আজিজুল ইসলাম লুকু।

 

বিয়ানীবাজার উপজেলা সুজন সভাপতি এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে অনেক সমীকরন সামনে আসে। তৃণমূল বিএনপি সেই সমীকরনের অংশ। বিএনপি নির্বাচনে না গেলে সরকারি ছত্রচ্ছায়ায় তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন করবে। এক্ষেত্রে শমসের মুবিনের কপাল খুলতে পারে। পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবাদ আহমদ বলেন, বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জথেকে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে নুরুল ইসলাম নাহিদের বিকল্পনেই। জোটবদ্ধ নির্বাচন হলেও নাহিদই হবেন নৌকার কান্ডারী। কে কোন দলের প্রার্থী তা নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যথা নেই।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার হোসেন বলেন, দলছুট নেতারা নতুন পরিচয়ে ভোটের মাঠে নামলেও খেলতে পারবেনা। কারণ ভোটের মাঠে অনেক খেলোয়াড় ওয়ার্মআপ করছেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার

শেয়ার করুন