জকিগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের জকিগঞ্জে হাত লেগে ব্ল্যাকবোর্ড মাটিতে পড়ে যাবার দায়ে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি গত বুধবার আটগ্রাম আমজদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ঘটেছে। তবে শনিবার রাতে জানাজানি হলে এলাকায় চরম ক্ষোভ দেখা দেয়।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী জানায়, ব্ল্যাকবোর্ডর পেছনে বেত রাখার সময় তার হাত লেগে ব্ল্যাকবোর্ড পড়ে যায়। তখন ক্লাস শিক্ষক কবির আহমদ হাত দিয়ে আমাকে থাপ্পড় দেওয়াসহ মারাত্মক মারধর করেন। কিছুক্ষণ পর মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুস সবুর ক্লাসে এসে ব্ল্যাকবোর্ডের ক্ষতিপূরণ দাবী করে ওই ছাত্রীকে গলা চেপে ধরে পিটুনি দিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে গর্দান চেপে ধরেন। তখন ওই ছাত্রী প্রসাব করে ফেলে।
এরপরও পিটুনি থামান নি মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুস সবুর। উল্টো তিনি ওই ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেন, শোর দিয়ে কান্নাকাটি করলে আবারও পেটাবেন। দুই শিক্ষকের অমানবিক পিটুনির পর থেকে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে ক্লাসে অনুপস্থিত রয়েছে বলে জানায়।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর মামা গিয়াস উদ্দিন জানান, মাদ্রাসায় পিটুনির বিষয়টি প্রথমে তিনি জানতে পারেননি। পরে তার ভাগ্নি অসুস্থ হলে পিটুনির বিষয়টি শুনতে পারেন। এ নিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সুবর জানান, ওই ছাত্রীর সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। বিষয়টি কমিটিকে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফয়সালের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দাখিল করুক। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার