স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার কোথাও গত প্রায় ৪ বছর ধরে প্রকাশ্যে মিছিল-সভা করতে পারেনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্র শিবির। সরকার বিরোধী বড় কর্মসূচি ঘিরেও এই দুই ছাত্র সংগঠনের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। তবে মাঝেমধ্যে অতি গোপনে ইসলামী ছাত্র শিবির নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দ্রুততম সময়ে তা শেষ করে। ছাত্রদল ৫-৭জন নেতাকর্মী নিয়ে হোটেল-রেষ্টুরেন্টে তাদের কর্মসূচি পালন করে। স্থানীয়ভাবে ছাত্রদল-শিবিরের এই নিষ্ক্রিয়তা নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজসহ উপজেলার অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টানে রবিবার একাদশ শ্রেণীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিগত সময়ে এই দিনকে ঘিরে পৌরশহরে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, ছাত্র জমিয়ত, তালামিযে ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো মিছিল বের করে নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতো। এবার কেবলমাত্র বিভক্ত ছাত্রলীগের কয়েকটি গ্রুপ মিছিল বের করে। দিনটি ঘিরে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। যদিও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের প্রবেশ পথে নবাগত শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে একটি ব্যানার টানিয়ে রাখে ছাত্র শিবির। শনিবার গভীর রাতে ব্যানারটি লাগিয়ে শিবির নেতাকর্মীরা অনেকটা পাহারা বসিয়ে রাখে। শিবিরের এই প্রচারণামুলক ব্যানারটি সোমবার বিকেল পর্যন্ত ওই স্থানে লাগানো ছিল। কলেজ প্রশাসন ব্যানারটি সরাতে কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক ছাত্রদল নেতা জানান, বিয়ানীবাজারে ছাত্রদলের পকেট কমিটি হয়। তাই দায়িত্বশীলদের কোন দায় থাকেনা। উপজেলার কোন ইউনিয়নে ছাত্রদলের কমিটি নেই। সরকার বিরোধী আন্দোলন তাই বিয়ানীবাজারে আলোর মুখ দেখছেনা। এখানে উপজেলা, কলেজ ও পৌর শাখার আহবায়ক কমিটি আছে।
ছাত্র শিবিরের এক উপজেলা পর্যায়ের এক নেতা বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর হয়রানীর ভয়ে আমরা কমিটি গঠন কিছুটা চেপে রাখি। তবে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিয়ানীবাজারে ছাত্রদলের এই দৈনদশা নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন জানান, মূলত: পৌরসভা এলাকার বাইরের নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করায় তারা দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারছেনা। পকেট কমিটি গঠন করার খেসারত দিতে হচ্ছে ছাত্রদলকে। বিষয়টি একাধিকবার জেলা নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন লাভ হচ্ছেনা।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতাসীন দলের বিরোধীমত দমনের মনোভাব রাজনীতিতে সংকট সৃষ্টি করছে। তাছাড়া জামায়াত-শিবির দেখলেই গ্রেফতার করার কারনে প্রকাশ্যে অনেক কার্যক্রম চালাতে পারছেনা। তিনি বলেন, কৌশলগত কারনে আমরা অনেক কার্যক্রম প্রকাশ্যে চালাইনা। তবে ছাত্র শিবির দেশের ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ে সোচ্চার।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার