স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের জৈন্তাপুরে ২০২১ সালে সোনারা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে খুন করেন তার সৎ দেবর। ওই খুনের ঘটনায় দেবর আব্দুল করিম (৩৯) ও তার স্ত্রী শিরিন বেগমকে (৩১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে আব্দুল করিমকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
একই রায়ে সৎ ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করার অপরাধে আসামি আব্দুল করিমকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এছাড়া আব্দুল করিম তার সৎ ভাইকে মারপিট করার সময় শিরিন বেগম সহযোগিতা করায় তাকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) অ্যাডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফরফরা গ্রামের তোরাব আলীর স্ত্রীর সোনারা বেগম তার সৎ দেবর আব্দুল করিমের হাতে খুন হন। এসময় তোরাব আলীকেও মারপিট করে আহত করা হয়।
তোরাব আলী ও তার সৎ ভাই করিমের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বাড়ির জায়গা ও জমিজমা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার কিছুদিন আগে প্রবাস থেকে ফেরার পর করিম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় বড় ভাইয়ের (তোরাবের) পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ঝগড়া বাধলে আব্দুল করিম ছোরা দিয়ে সৎ ভাবীর ঘাড়ের পেছনে আঘাত করলে সোনারা বেগম ঘটনাস্থলে মারা যান।
ঘটনার পর আবদুল করিম ও তার স্ত্রী শিরিন বেগমকে আটক করে পুলিশ।
মামলার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ বৃহস্পতিবার এর রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আকমল খান।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার