স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার সর্বত্র ঢিলেঢালা হরতাল চললেও জনজীবনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। দূরযাত্রার যাত্রীরা বের হননি। রাজপথের বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা অন্যান্য সংগঠনের ডাকে রবিবার দিনব্যাপী হরতাল আহবান করা হয়। আগের দিন শনিবার কিংবা হরতালের দিন রবিবারও বিয়ানীবাজারের কোথাও মিছিল পিকেটিং করেনি বিএনপি-জামাত কিংবা তাদের মিত্ররা।
তবে রবিবার ভোর থেকে ঢাকা অথবা সিলেটের উদ্দেশ্যে দূরপাল্লার কোন বাস চলাচল করেনি। দুপুরের পর বিয়ানীবাজার থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বাস ছেড়ে যায়। যদিও তাতে যাত্রী সংখ্যা ছিল খুব কম। সকাল থেকে পৌরশহর এলাকায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন হরতালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পুলিশ একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে শহরে অবস্থান নেয়।
বিয়ানীবাজারে হরতালের প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়। গ্রাহক নেই অন্যান্য দিনের মতো।
ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন শাখায় সামনের দরজা বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। তবে ব্যাংকে তেমন গ্রাহক না থাকায় অধিকাংশ সেবা কাউন্টারের কর্মকর্তাকে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন দুপুরের পর গ্রাহক বাড়তে পারে।
শেওলা স্থল বন্দর এলাকায় মালামাল লোড হলেও কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি। রপ্তানী পন্যের কোন যানবাহন বন্দর এলাকায় প্রবেশ করেনি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 998 বার