স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারে মরননেশা ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বিয়ানীবাজার পৌরশহর ও বৈরাগীবাজার, চারখাই বাজার, কালিবাড়ি বাজার, বারইগ্রাম, থানা বাজার, মইয়া খালী, রামদা বাজার এলাকায় মাদক সেবীদের উৎপাত মাতলামিতে কানাগলি থেকে রাজপথ পর্যন্ত সরগরম হয়ে উঠে। দিন দিন ইয়াবাসেবী যুবকদের সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সম্প্রতি বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ বেশ কয়েকজন মাদক বিক্রেতাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করলেও এসব মাদক ব্যবসায়ীরা আইনের ফাঁক ফোকড়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আবারও মাদক ব্যবসার জড়িয়ে পড়ছে।
বিয়ানীবাজার পৌরশহরে বেশ কয়েক বৎসর থেকে জোয়াড়ীরা একত্রে জড়ো হয়ে জোয়া খেলা শুরু করে। তাদের সাথে যোগ দেয় সাবেক ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালীরা। জোয়া খেলা শেষে বাড়ী ফিরে যাওয়ার পথে পৌরশহর ও আশপাশ এলাকায় অপরাধ করে চলে যায়। সূত্রে জানা যায়, বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামে জনৈক ব্যক্তি, বড়দেশ গ্রামের জনৈক ব্যক্তি, সুপাতলা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির বাড়ীঘর পৌরশহরে নয়াগ্রাম জনৈক ব্যক্তির বাড়ীর জঙ্গলে প্রতিদিন স্থান বদল করে দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ টাকার জোয়ার বোর্ড বসে খেলা চলছে। এসব জোয়া খেলা নেতৃত্ব দিচ্ছে স্থানীয় জোয়াড়ী জনৈক ব্যক্তি মোল্লাগ্রামের একজন, বারইগ্রামের একজন বর্তমানে খাসারিপাড়া, নয়াগ্রামের একজন সহ আরও অনেকেই।
বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন হাটে গ্রামগঞ্জে নেশা খোরদের সংখ্যা ক্রমাগত ভাবে বেড়েই চলছে। সেই সাথে বাড়ছে ইয়াবা, ফেনসিডিলের চাহিদা উম্মাতাল নেশাখোররা যে কোন মূল্যে পেতে চায় তাদের কাংখিত জিনিস। আর এই সুযোগ লুফে নেয় কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তি। নিজের পকেট ভারী করতে আসক্তদের হাতে তারা তুলে দেয় মরননেশা।
অনেকে মাদক বিক্রি করলে ও বিয়ানীবাজার ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাজা ব্যবসা মূলত নিয়ন্ত্রন করছে এইসব লোকজন। ব্যবসার সুবিদ্বার্থে এরা বিভিন্ন সময় স্থান বদল করলেও কখনো বিয়ানীবাজার পৌরশহরে অলি-গলি কখনো উত্তর-দক্ষিণ বাজার। বৈরাগীবাজার জেটি ঘাট, বারইগ্রাম, থানা বাজার, চারখাই বাজার, জিরোপয়েন্ট, মইয়া খালী, শেওলা। তাদের দৌরাত্ব তুলনামূলক ভাবে বেশি। ফলে বিয়ানীবাজারে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাজা সেবী বখাটেদের উৎপাত তীব্র ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 999 বার