স্টাফ রিপোর্টার:
সাত জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ এবং টানা চতুর্থ দফা সরকার গঠন করে দলটি।
জাতীয় নির্বাচনের রেশ শেষ না হতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। সিলেট জেলার ১২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য দেড় শতাধিক প্রার্থী সরব রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের বেশিরভাগ ইতোমধ্যে মাঠে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। অনেকেই বিভিন্ন এলাকায় বাড়িয়ে দিয়েছেন সামাজিক কার্যক্রম, সাধারণ মানুষে কাছে গিয়ে করছেন কুশল বিনিময়।
জানা গেছে, শিগগিরই উপজেলা নির্বাচনের তফসিল এবং আগামী মার্চ মাস থেকে ধাপে ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে- নির্বাচন কমিশনের এমন ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা নড়েচড়ে বসেছেন। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থী নেতা-কর্মীদের মধ্যেই নির্বাচন ঘিরে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক প্রার্থী দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কুশল বিনিময় করছেন। কেউ কেউ ব্যানার-ফেস্টুনও সাঁটাচ্ছেন। অনেকেই বাড়িয়ে দিয়েছেন সামাজিক কার্যক্রম।
এদিকে, যেহেতু সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়নি, তাই এখানে নির্বাচন হবে না। বাকি ১২টি উপজেলার প্রতিটিতে চেয়ারম্যান পদে ৫-৭ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আছেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক কোনো প্রার্থীকে না দিলে দলের অনেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হলেও কিছু প্রার্থী মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবেন। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে জাতীয় পার্টিসহ দলনিরপেক্ষ অনেক প্রার্থীরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা আছে। বর্তমানে মাঠে দেড় শতাধিক প্রার্থী তৎপর আছেন বলে রাজনৈতিক দলগুলোর স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন। সময় যত গড়াবে, এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেখা গেছে- বিশেষত ভার্চুয়াল যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের শুভেচ্ছাসংবলিত ডিজিটাল পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকাংশ সম্ভাব্য প্রার্থী সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত হাজির হয়ে নিজেদের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জানান দিয়ে ভোটারদের দোয়া ও ভালোবাসা চাইছেন। যাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে মনস্থির করেছেন তাঁরা সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী নেতারাও আছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ মনে করছে- দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের অনেকেই হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। এ অবস্থায় দলের কর্মী-সমর্থকেরাও নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এতে মোটামুটি একটি উৎসবমুখর পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 997 বার